স্টাফ রিপোর্টার
এখন আর অনলাইনের সেবা নিতে গ্রামের মানুষ শহরমুখো হন না। নিজেদের হাতের কাছে থাকা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে গিয়েই কম্পিউটর কম্পোজ, জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন, ই-মেইল, স্ক্যানিং, ছবি তোলা, পরচার আবেদন, নাগরিক আবেদন, কম্পোজ, ভারতীয় ভিসা প্রসেসিং, অন লাইনে চাকুরীর আবেদন, ভিডিও কল, পাসপোর্টের আবেদন, বিদেশে চাকুরীর তথ্য, ভিসা চেকিং, প্রজেক্টর ভাড়া, স্কুল কলেজের রেজাল্ট, ভর্তির আবেদন, কম্পিউটর প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ডিজিটাল সেবার নিয়ে থাকেন।
এসব সেবাকেন্দ্রগুলো এক সময় লাভজনক না থাকলেও সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে এখন অনলাইনেই বেশীরভাগ কাজ সম্পন্ন হয় বলেই ডিজিটাল সেবাকেন্দ্রগুলো এখন সারাদিনই সরগরম থাকে। বলছিলেন মাগুরার শালিখা উপজেলার বুনাগাতি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ মুক্তি মাহমুদ খান। ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে প্রথমে একটি সেন্টার স্থাপিত হলেও পরে বুনাগাতি বাজারে একটি সাব সেন্টার স্থাপন করে সেবা দিচ্ছেন মুক্তি।
মাগুরা ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় নিজের স্টলে উপস্থিত হয়ে মুক্তি আরো জানান- শিক্ষা জীবন শেষ করে কিছুদিন বিভিন্ন বেসকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে নিজের এলাকার মানুষকে ডিজিটাল সেবা প্রদানে মনোনিবেশ করেন তিনি। ২০১১ সাল থেকে পরিকল্পিত ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলার মাধ্যমে নিজ এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি পান মুক্তির পরিচালিত সেন্টারটি। তার পাশাপাশি সেন্টারটিতে এখন আরো চারজনের কর্মসংস্থান করা সম্ভব হচ্ছে।
ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সরকারের সকল প্রাথমিক সেবা নিশ্চিত করে এলাকার মানুষকে শতভাগ ডিজিটালি শিক্ষিত করাই মুক্তির অন্যতম স্বপ্ন। তিনি মনে করেন মানুষের স্বাভাবিক শিক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল শিক্ষাই তাকে আধুনিক সময়ের উপযোগি করে গড়ে তুলত্পোরে ।