বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মানুষ এক সময় সত্য হিসেবে সংবাদপত্রকে বিশ্বাস করতো। এমনকি পবিত্র ধর্মগ্রন্থের পর বাংলাদেশের মানুষ পত্রপত্রিকাকেই বিশ্বাস করতো। কিন্তু গত ১৭ বছরে স্বৈরশাসনে অপসাংবাদিকতার কারণে মানুষ তা ভুলে যেতে বসেছিল। সংবাদপত্রের উপর থেকে তাদের বিশ্বাস উঠিয়ে নিয়েছিল দেশের মানুষ। মাগুরা প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান উদ্বোধন কালে শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহা পরিচালক মাহবুব আলম গোরা তার উদ্বোধনী ভাষনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন মাগুরার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বিপিএম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা পাভেল দাস, বাংলাদেশ অবজারভার এর স্টাফ রিপোর্টার শহিদুজ্জামান মোহন, বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন খান, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলী আহম্মদ, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব কিশোর, প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ড. আলী আফজাল, শরীফ আজিজুল হাসান মোহন, দিপঙ্কর বিশ্বাসসহ অন্যরা। উদ্বোধক মাহবুব আলম বলেন, সাংবাদিকদের  প্রকৃত সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের গণমাধ্যমকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। দীর্ঘদিন দেশের শাসন ব্যবস্থা একদলীয় স্বৈরশাসনে পরিণত করে সকল অর্গানগুলো ধ্বংশ করা হয়েছিল, তার থেকে রক্ষা পায়নি গণমাধ্যম। এ সুযোগে সৃষ্ঠি হয়েছিল এক শ্রেণীর তোষামোদি, ব্যক্তিগত সুযোগ গ্রহনকারী সাংবাদিক নামধারী চক্র। দেশের জনগণ দেখেছেন তাদের সাংবাদিকতা। তিনি বর্তমানে কর্মরত সাংবাদিকদের মুক্ত দেশে মুক্ত সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানান। আগস্ট বিপ্লবে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলিতে নিহত মাগুরার ১০ শহীদের ও মাগুরা প্রেসক্লাবের প্রয়াত ৫ সাংবাদিককে মরনোত্তর সংবর্ধনা, দীর্ঘ ২৫ বছর পর মাগুরা প্রেসক্লাবের সদস্য পদপ্রাপ্ত ৩১ জন সাংবাদিককে বরণ। অনুষ্ঠানে মাগুরার জেলা পর্যায়ের সরকারি বেসরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক, সামাজিক,  সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।