মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন, বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সবুজ দেয়ালের মাঝে লাল রঙের জানালা। দূর দেখলে মনে হয় বড় আকৃতির জাতীয় পতাকা। চকচকে ঝকঝকে সুন্দর ছিমছাম একতলা বাড়ি। বাড়ির সামনে পতপত করে উড়ছে জাতীয় পতাকা। এই বাড়ীর নাম বীর নিবাস। বাড়ির দেয়ালে সাদা পাথরের উপরে কালো অক্ষরে খোঁদাই করে লেখা আছে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোচিত অবদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার।
মাগুরার চারটি উপজেলায় সরকারি সহায়তায় এরকম ২৫টি বাড়ি পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ভূূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ইতোমধ্যে বাড়িগুলোর নির্মাণ কাজ শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, একটি বাড়ি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ২৫ টি বাড়ির জন্য ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। মাগুরা সদর উপজেলায় ৭, শ্রীপুরে ১০, শালিখায় ২ ও মহম্মদপুর উপজেলায় ৬ জন ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ৬০০ বর্গফুট আয়তনের একতলা ভবনে তিনটি কক্ষ ও বারান্দা রয়েছে। ভবনের সাথে একটি স্থায়ী রান্না ঘর, ল্যাট্রিন, গরুর গোয়াল, মুরগি পালনের ঘর ও টিউবয়েল স্থাপন করা হয়েছে।
মাগুরা সদরের কুচিয়ামোড়া এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ জানান, তার থাকার জায়গা ছিল না। তার অবস্থা খারাপ দেখে সরকার তাকে এ ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। এতে তিনি সন্তুষ্ট।’
মহম্মদপুর উপজেলা সদরের গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আজগর আলী জানান, ‘তিনি পেশায় গ্রাম পুলিশ। বসত ভিটা ছাড়া তার কিছুই নাই। পাকা দালানে কোনদিন বাস করব কল্পনায় ছিল না। স্বপ্ন সত্যি হওয়ায় তিনি সরকার প্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।magura-freedom-fiighter-house-picture-02
মহম্মদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের কমান্ডার আলী রেজা খোকন বলেন, ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য আমরা গর্বিত।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা মো: ইফতেখার আলী জানান, ‘ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের লাল-সবুজ বাসস্থান ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি অনন্য সাধারণ প্রকল্প। অগ্র্রাধিকার ভিত্তিক এই প্রকল্পকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’