বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মাগুরায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও জমকালো আয়োজনে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে ২২ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী জেলা সাংস্কৃতিক উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। করোনার কারণে দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে এ উৎসবকে ঘিরে জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রাণ সঞ্চার হয়। ২২ ডিসেম্বর আলোচনা ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের শুভ সূচনা করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর। সপ্তাহব্যাপী এ সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রতি সন্ধ্যায় জেলা শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ের ৪৫টি সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয় । ৭দিন ধরে প্রতি সন্ধ্যায় সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, নাটক, যাত্রা, মুকাভিনয় এর পাশাপাশি জেলার লোক ঐতিহ্য সম্বলিত হলই গান, অষ্টক গানসহ নানাবিধ শৈল্পিক উপস্থাপনায় মুখরিত ছিল মাগুরা আসাদুজ্জামান অডিটরিয়াম।
এ প্রসঙ্গে জেলার মহম্মদপুর উপজেলার কলমের সৈনিক নাট্য সংস্থার সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ মিল্টন, শহরের নৃত্য শিল্পী আপেল মাহমুদ, প্রত্যয় শিল্পী গোষ্ঠীর সংগীত শিল্পী হাসিয়ারা খাতুন হাসি, শিপ্রা দাস, সুরধ্বনি সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের পরিচালক বাসনা রায়সহ একাধিক শিল্পী জানান- করোনার মহামারিতে মানুষ যখন রীতিমত গৃহবন্দী জীবন যাপন করছিলেন তখন দীর্ঘদিন পর এ ধরনের একটি উৎসব আমাদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার করেছে। এর মাধ্যমে আমরা যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে কাজ করতে পারছি। অন্যদিকে দর্শকরাও পাচ্ছেন নির্মল চিত্ত বিনোদন। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত নৃত্য আবৃত্তি কৌতুকের পাশাপাশি মাগুরা আদর্শ বিতর্ক সংঘের উপস্থাপনায় প্লানচেট বিতর্ক বা আত্মাদের নিয়ে বিতর্ক উপস্থাপনায় মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ও বীর নারীদের প্রতিকৃতি উপস্থাপনা ছিল বিশেষ আকর্ষণ। এ প্রসঙ্গে এমআইডিএস এর সভাপতি নাহিদুর রহমান দূর্জয় জানান- বিতর্ক যে নির্মল চিত্ত বিনোদনের একটি অনন্য উপজিব্য। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তা প্রমাণ হলো। এর মাধ্যমে বিতার্কিকরাও অনেক বেশী আগ্রহী হলো। Magura Cultural Week Pic এ প্রসঙ্গে মাগুরার জেলা কালচারাল অফিসার অনুপ চ্যাটার্জী বলেন- মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে সংস্কৃতি চর্চার কোন বিকল্প নেই। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সেটিই করার চেষ্টা করছি। মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম জানান- এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে মানুষ যেন আবার কর্মচঞ্চল হয়ে উঠতে পারে তারই প্রয়াস নেয়ার চেষ্টাকরা হয়েছে। এ ধরনের সংস্কৃতি উৎসবের মধ্য দিয়ে মানুষের সংস্কৃতিবোধ তৈরীতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

রূপক / মাগুরা/২৯ ডিসেম্বর ২১