বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালীতে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ক্যাম্পাসে কোন প্রকার সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই অন্তত ৩০টি মূল্যবান গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: ফিরোজ আহমেদ গোপনে এ গাছ কেটে বিক্রি করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রকাশ্যে গাছ কাটার ছবি ও ভিডিও থাকলেও তিনি কোন গাছ কাটা হয়নি বলে সাফাই গেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে- কোন প্রকার নিয়ম কানুন অনুসরণ না করেই মাগুরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ক্যাম্পসে ১৫টি ইউক্যালিপটাস, ৫টি মেহগনি ও অন্তত ১০টি বিভিন্ন ফলদ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে বন বিভাগের কোনো দাফতরিক নির্দেশ নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজন এলাকাবাসি জানান- যুব উন্নয়ন অফিসেরর ক্যাম্পাসের শুরু থেকেই এ গাছগুলি লাগানো হয়েছে। গাছগুলির তলে এখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসা ছাত্রছাত্রীরা বিশ্রাম নেন। সম্প্রতি এখানে কিছু স্থাপনা তৈরীর কথা বলে বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করে ওই গাছগুলি কাটা শুরু হয়। তবে এ সময় জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অফিসে ছিলেন না। এলাকাবাসির দাবী গাছগুলির প্রতিটির মূল্য হবে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

জেলা বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা তপন সরকার বলেন, সরকারি অফিসের ভেতরে রোপিত গাছ কাটতে গেলে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের অনুমতি, জেলা প্রশাসক এর নেতৃত্বে একটি কমিটির মাধ্যমে বন বিভাগের মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ ছাড়া কোনো সরকারি গাছ কাটা যায় না। কিন্তু যুব উন্নয়ন অফিস থেকে সে নিয়ম মানা হয়নি।

এ ব্যাপারে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মাগুরার উপ-পরিচালক ফিরোজ আহমেদ মোবাইলে জানান, ক্যাম্পাসের কিছু উন্নয়ন কাজ করতে কয়েকটি গাছ কাটার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এখনও কোন গাছ কাটা হয়নি।

রূপক/ মাগুরা/ ৯ ডিসেম্বর ২১