স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরাবার্তা
মাগুরায় দৈনিক প্রথম আলোর ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রীতি সম্মেলন, গুণীজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) শহরের সরকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে বন্ধুসভার সহযোগিতায় এ আয়োজন করে প্রথম আলো। সেখানে সমাজে বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রাখায় দুজন গুণীজনকে সম্মাননা জানান হয়।
প্রীতি সম্মেলনে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবু সাইদ মোল্লা, মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ খান, ব্যবসায়ী বাবুল কুরি, মাগুরা বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক সোহেল সিদ্দিকি প্রমুখ। Magura Palo23 program (15)
সহযোগী অধ্যাপক আবু সাইদ মোল্লা বলেন, ‘একটি পত্রিকা পরিবারের সকল সদস্যের খবরের তৃষ্ণা মেটায়। ছোট থেকে বড়, নারী, পুরুষ সবার চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন আমাদের সামনে হাজির হয় প্রথম আলো’। অনুষ্ঠানে কবি ও সাংবাদিক শামীম আহমেদ খান বলেন, ‘প্রথম আলো বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ধারণাই বদলে দিয়েছে। তাঁরা অন্যদের পথ দেখিয়েছে। এখনো প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ধারণা নিয়ে পাঠকের সামনে হাজির হচ্ছে তাঁরা’।
স্বাগত বক্তব্যে প্রথম আলোর মাগুরা জেলা প্রতিনিধি কাজী আশিক রহমান পত্রিকাটির নানা ধরণের উদ্যগের কথা তুলে ধরেন। একইসাথে ২৩ বছরের পথ পাশে থাকার জন্য পাঠকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
সকাল ১১টায় বন্ধুসভার সদস্যদের অংশ গ্রহণে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেখানে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে সমাজে বিভিন্নভাবে অবদান রাখায় দুজন গুণীজনকে ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মানিত করা হয়। সম্মাননা পাওয়া দুজন হলেন মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দেবদাস মণ্ডল ও শ্রীপুর উপজেলার টুপিপাড়া গ্রামের সংগঠক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল। করোনার গত দুই বছরে মাগুরা সদর ও মহম্মদপুর উপজেলায় সাড়ে সাত হাজারের বেশি সন্দেহভাজন করোনা রোগীর কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন দেবদাস মণ্ডল। অন্যদিকে, গত সাত বছরে এক হাজারের বেশি মানুষ বা তাঁদের দুর্ভোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে সমাধান চেয়ে এসেছেন জুয়েল। তাঁর এ আহবানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন সময়ে সরকারী বা বেসরকারি উদ্যোগে ভুক্তভোগী সেসব মানুষের সমস্যা সমাধান হয়েছে। সমাজে এ সকল অবদানের জন্য তাঁদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আগত অতিথিরা। এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।

মাগুরা/ ৯ নভেম্বর ২১