Main Menu

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ

কেক কাটাসহ ব্যতিক্রমী নানা আয়োজনে সারাদেশের মত মাগুরায়ও খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

Magura Covid situation school opening pic

বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
বেলুন-রঙ্গিন কাগজ দিয়ে স্কুল সাজিয়ে, কোথাও কোথাও কেক কেটে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্বাস্থবিধি মেয়ে মাগুরায় আজ রবিবার ( ১২ সেপ্টেম্বর ) প্রাথমিক,মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। প্রথমদিনে প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে এ সময় শিক্ষা বিভাগ, জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শন করেন।
প্রায় দেড় বছর পর স্কুল খোলার কারণে সবার মাঝেই ছিল উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা। সেই ট্রমা কাটাতে বিভিন্ন স্কুলে রঙ্গীন বেলুনের গেট, কেক কাটাসহ নানা উপকরণে সজ্জিত করতে দেখা যায়। এতে ছেলে মেয়েরা ট্রমা কাটিয়ে পঠন পাঠনে মনযোগি হতে পারবে এমন আশা করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
সদর উপজেলার সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ব্রজেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান- তার অধিনে থাকা ২৭টি বিদ্যালয়কে শিশুদের আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্কুলে ফেরাকে স্বাগত জানাতে কেক কাটা, বেলুনসহ রঙ্গীন কাগজ দিয়ে স্কুল সাজানো এমন নানা আয়োজন রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন শিশুরা একটি ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছেন। ইতিমধ্যে এসব শিশুদের দুয়েকজনের হয়তো আপনজনও করোনায় মারা গেছেন কিংবা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ অবস্থায় শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে বিদ্যালয়ের প্রথম দিনটিকে আনন্দঘন করার প্রয়াস পেয়েছি আমরা। আমার বিশ্বাস এর ফলে শিশুরা স্কুলে লেখাপড়ায় আরও মনযোগি হবে এবং এ দেড় বছরের গ্যাপ পূরণ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে আমরা শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য বিধি মানাকে কড়াকরি ভাবে পালনে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করছি।
এদিনে জেলার গ্রাম ও শহর পর্যায়ের কয়েকটি স্কুল পরিদর্শন শেষে সদ্য সাবেক প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হাসান জানান, সরকারের পক্ষ থেকে গ্রাম ও শহরের শিক্ষা বৈষম্য দূর করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমার পরামর্শ হলো, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী নিজ নিজ স্কুলের শিশুদের নিয়ে পৃথক যাচাই বাছাই করে এই ক্ষতি পূরনের জন্য নিজ নিজ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। সে মোতাবেক পৃথক পৃথক ভাবে সমস্যা চিহ্নিত করে এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কর্মপরিকল্পনা নিলে এ ক্ষতিপূরণ সম্ভব। বর্তমান পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং মাগুরা জেলার প্রাথমিক শিক্ষার মেন্টর হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত জনাব হাসান বলেন, গ্রাম ও শহরের মধ্যে যে শিক্ষায় ব্যবধান হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও কর্মকর্তাদের তৎপরতায় দ্রুত এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব হবে।

রূপক / মাগুরা /১২ সেপ্টেম্বর ২০২১






Comments are Closed