স্টাফ রিপোর্টার
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বারইপাড়া ফাঁসতলা মহাশশ্মান কালী মন্দিরে পূজা দেখতে আসা চার দর্শনার্থীর উপর হামলার ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ মামলার এজহারভুক্ত এক আসামীসহ দুইজনকে গতরাতে আটক করেছে। আজ ভোরে তারা এ মামলা গ্রহণ করেন।
হামলায় আহত তাপস সরকারসহ স্থানীয়রা জানান, আটক ইকবালসহ কয়েকজন বখাটে যুবক গত দূগা পূজার সময় মন্দিরে আসা মহিলাদের উত্ত্যক্ত করে। সে সময় প্রতিবাদ করায় মন্দিরের স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে বখাটেদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে সোমবার রাত ১১ টার দিকে ইকবালসহ একদল বখাটে যুবক মন্দিরে বাৎসরিক কালিপূজা দেখতে আসা সে সহ ৪ দর্শনার্থীকে লাঠিপেটা করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে তাপস সরকার (২২) কে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভতি করা হয়েছে। অমিত সরকার, সুব্রত সরকার ও বিপ্লব সরকারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার রাতেই পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত ইকবালকে আটক করে।
এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপ ও তদবিরে থানায় মামলা না হওয়ায় পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে আটক ইকবারকে ছেড়ে দেয়। পরে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারের পর মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আবার ইকবাল ও মাহামুদুল নামে ২ জনকে আটক করে। অবশেষে আজ বুধবার ভোরে ইকবালসহ তিন আসামীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত অরো ৩ জনের নামে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের হয়।
শ্রীপুরের নব নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, আহত যুবক তাপস সরকারের বাবা বিনোদ সরকার বাদী হয়ে ইকবালসহ তিন আসামীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত অরো ৩ জনের নামে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এজহার নামীয় প্রধান আসামী ইকবাল ও মাহমুদুল নামে এক আসামীকে আটক করেছে।