পংকজ রায়, স্টাফ রিপোর্টার, মহম্মদপুর
ফারুক হোসেন (১০)ও ইয়াসিন (১৪)জন্ম থেকেই শারিরীক প্রতিবন্ধী। দারিদ্রতার কারণে তাদের পবিারের পক্ষে হুইল চেয়ার কেনা সম্ভব হচ্ছিল না। খুবই কষ্টে ছিল তারা।উভয়ের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের হাসপাতাল পাড়া ও হরেকৃষ্ণপুর গ্রামে। উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের দরিশালধা গ্রামের বিধবা নারী ডালিয়া বেগম। পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। অভাবের কারণে তাঁর সংসারের চাকা ঘুরছিল না। একটি সেলাই মেশিন হলে তাঁর সংসারের চাকা ঘুরাতে সুবিধা হতো।

এই তিন জনের সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত মহম্মদপুর উপজেলার প্রবাসী অনলাইন সংগঠন ও এস এ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন । আজ শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)রামানন্দ পাল তাঁর কার্যালয়ে দুইজনকে হুইল চেয়ার ও একজনের হাতে সেলাোই মেশিন কম্বল,কোরআন শরীফ ও গাছের চারা তুলে দেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকছেদুল মোমিন ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কামরুল ইসলাম। হুইল চেয়ার পাওয়া দুই প্রতিবন্ধী শিশুর স্বজনেরা জানান, তাদের সন্তানদের চলাফেরোয় হুইল খুবই দরকার ছিল। প্রবাসী ভাইয়েরা ব্যবস্থা করায় তাঁরা দারুণ খুশি।তাদের শিশুদের চলাচল এখন আরামদায়ক ও সহজ হবে।

সেলাই মেসিন পেয়ে ডালিয়া বেগম বলেন, তাঁর পাঁচ মেয়ে এক ছেলে। স্বামী মারা গেছেন ১৫ বছর আগে। সংসারে আয় করার কেউ নেই। খুবই কষ্টে কাটে তাঁর দিঁন। সেলাই মেশিন পেয়ে তাঁর বড় উপকার হলো।সেলাই মেশিনের সাথে এখন তাঁর সংসারের চাকাও ঘুরবে।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)রামানন্দ পাল বলেন, প্রবাসী বন্ধুদের সহায়তায় অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পেরে তিনিও আনন্দিত।

পংকজ/ ২২ জানুয়ারী ২০২১