বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
নিখোঁজের দুইদিন পর রোববার দুপুরে মাগুরার শালিখা উপজেলার কুশখালী গ্রামে একটি পুকুর থেকে হাজী ইউনুস বিশ্বাস (৬৫) নামে এক ব্যবসায়ির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাজী ইউনুস কুশখালী গ্রামের মৃত উজির বিশ্বাসের ছেলে। পরিবারের দাবি হাজী ইউনুসকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
স্থানীয় তালখড়ি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানান, দীর্ঘদিন ধরে কুশখালী গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন ও গোলাম সরোয়ারের নেতৃত্বে দুইদল গ্রামবাসীর মধ্যে গ্রাম্য আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালে সংঘটিত একটি হত্যা মামলার সাক্ষি দেওয়ার জন্য গত এক সপ্তাহ আগে প্রতিপক্ষ গোলাম সরোয়ারের সমর্থকেরা সাখাওয়াত হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ওই ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে কোন মামলা গ্রহণ না করায় ও পরবর্তীতে পুলিশের উধ্র্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা হয়। কিন্তু এর পরও স্থানীয় পুলিশ আসামীদের ধরতে গরিমসি করায় সরোয়ার গ্রুপ এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে সাহস পেয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার জের ধরে গত শুক্রবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে বাকবিতন্ডা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ উত্তেজনার সূত্র ধরে ওইদিন রাত থেকে সাখাওয়াত হোসেন সমর্থক কাঠ ব্যবসায়ি হাজী ইউনুস নিখোঁজ হন। পরে রোববার দুপুর ৩টার দিকে কুশখালী গ্রামের একটি পুকুরে স্থানীয়রা হাজী ইউনুসের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খরব দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ইউনুসের ছেলে সাবার বিশ্বাস অভিযোগ করেন,তার বাবাকে প্রতিপক্ষ গোলাম সরোয়ারের লোকজন ধরে নিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছে। তিনি এ হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তশূলক শাস্তি দাবি করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শালিখা থানার এসআই ফরিদ হোসেন জানান, নিহতের শরীরে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তর পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেবে।