ওবায়দুর রহমান, মাগুরাবার্ তা
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউপির বেথুড়ি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে গ্রাম্য দলাদলি চলে আসছে। যেহেতু দুটি পক্ষই আওয়ামীলীগ তাই কেউ কাউকে নাহি ছাড়ি সমানে সমান। এক পক্ষ আঘাত করলে অপর পক্ষ পাল্টা আঘাত। একটি পক্ষ ভাংচুর করলে ওপর পাল্টা ভাংচুর। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া গরীব নিরীহ মানুষ গুলোর বিপদের শেষ নেই,আতংক তাদের পিছু তাড়া করে নিয়ে বেড়ায়। এই বুঝি তাদের মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাই ঘরটুকু মানুষ নামের হায়েনা পশু গুলোর আক্রমণে লন্ডভন্ড যায়।
সরোজমিনে গিয়ে এমনই আতংক দেখা গেছে ঐ গ্রামের নিরীহ নারী,পুরুষ, বৃদ্ধ মানুষ গুলোর চোখে মুখে,অনেক সাথে এ নিয়ে কথাও হয়েছিলো,তারা চায় শান্তিতে বসবাস করে খেটে পিটে খেয়ে বেঁচে থাকতে। আর বর্তমান এই পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রশাসনের কাছে তারা আকুতি জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু’পক্ষকে ডেকে যাতে আর কোন ভাংচুর, মারামারি, কাঁটাকাঁটি,লুটপাট, হামলা মামলা না হয় সেই দাবী তাদের,তারা আর আতংকিত হয়ে দিন যাপন করতে চায় না।উল্লেখ্য গত ১১/০৮/২০তারিখে পাওনা টাকা চাওয়া ও গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে প্রথমে রেজাউল করিম বাবু গ্রুপের তপন মোল্যা(২৬)পিতা বুলু মোল্যাকে পিটিয়ে জখম করা হয়,এরই প্রতিশোধ নিতে আহাদ ও মফিজ গ্রুপের বাকি বিল্লাহ(৪৫)পিতা ইলাহি মোল্যাকে মারপিট করে জখম করা হয়,ফলে শুরু হয় ভাংচুর,আর লুটপাট এই দিনে ভাংচুর করা হয় অনেক গুলো বাড়ী আর দোকান।এরই জের ধরে গত ২৮অগাষ্ট মারপিট করা হয় আজাদ মোল্যা(৪৫)পিতা মৃত্যু আতিয়ারকে।এখন সকলের ভেতর আতংক কে কোথায় কখন হামলার শিকার হতে হয়।এসকল ঘটনায় দুটি ভাংচুরে মামলা করা হয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে তা ছাড়াও রয়েছে অন্য মামলা যার ফলে মামলা আতংক রয়েছে এই নিরিহ মানুষ গুলোর মনে।এলাকাবাসীর চাওয়া অতিদ্রুত প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে আহাদ মফিজ ও বাবু গ্রুপের মধ্যে দন্দ নিরোসন করে গ্রামে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করার।এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)জনাব তারক বিশ্বাস বলেন,আমরা সেখানে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রতিনিয়ত ঐ গ্রামের মানুষদের নিয়ে উঠান বৈঠক করছি,সাধারণ শান্তি প্রিয় মানুষ গুলো যাতে ডাংগাবাজদের কথায় মারামারিতে জড়িয়ে না পড়ে সেটা তাদের বোঝানো হচ্ছে এবং এ কাজটি অব্যাহত রয়েছে, পাশাপাশি যারা মারামারি, ভাংচুর লুটপাট সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে,তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে একটা নজির স্থাপন করতে চাই এই শাস্তি দেখে আর যাতে কেউ এ সকল অপরাধ করতে সাহস না দেখায় সে লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মাগুরা/ ৫ সেপ্টেম্বর