বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
তারা ডিজিটাল যোদ্ধা। তারা তৃণমূলের তথ্য যোদ্ধা। তারা করোনা যোদ্ধা। এমনি নানা গালভরা শব্দে তাদের পরিচিত করানো হলেও সবচেয়ে বঞ্চিত থাকছেন তারাই। আর এই বঞ্চনার শিকার মানুষগুলি হলেন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাগন। মাগুরা জেলায় ৩৬টি ইউনিয়নের ৭২ জন ডিজিটাল উদ্যোক্তা  প্রায় এক দশক ধরে কোনো প্রকার বেতন-ভাতা ছাড়াই তৃণমূলের মানুষকে তথ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নসহ সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় তথ্য-প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন মাগুরার ৩৬টি ইউনিয়নে নিয়োজিত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) উদ্যক্তাবৃন্দ। আর করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তারা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। কর্মহীন ও অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিতে সরকারে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইউডিসি উদ্যোক্তাবৃন্দ জনপ্রতিনিধি ও জনপ্রশাসনকে সহায়তা করছেন। সরকারিভাবে সারা দেশে সাধারণ ছুটি থাকলেও ইউডিসি উদ্যক্তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন আগের নিয়মেই। করোনা আতঙ্কের মধ্যে কর্মহীন, অসহায় মানুষের তালিকা তৈরি, মাস্টার রোল তৈরি, জনসচেতনা সৃষ্টি, তথ্য আদান-প্রদান, প্রচার-প্রচারণাসহ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন তারা। এ সব করছেন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়াই।

ডিজিটাল সেন্টার মাগুরা জেলা উদ্যোক্তা ফোরাম এর সভাপতি মুফতি মাহমুদ খান জানান, কোনো প্রকার বেতন-ভাতা না থাকলেও ২০১০ সাল থেকে মাগুরা জেলায় ৭২ জন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা মানুষের দোরগোড়ায় তথ্য-প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি।

তিনি আরো জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৪ সালে ইউডিসি উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল সন্তান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী, আর্থিক প্রণোদনাসহ ইউডিসি উদ্যোক্তাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।

মাগুরা/ ১৮ মে ২০২০