বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের পূর্বনারায়নপুর গ্রামে  সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিজ জমিতে নির্মানাধীন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে স্থানীয় একটি দুর্বৃত্ত মহল।  মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাজার রাধানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ঘটনায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে সংখ্যালঘু পরিবারটি। পুনরায় হামলা ও উচ্ছেদ আতংকে ভুগছে পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন ভুক্তভোগী সুকান্ত চক্রবর্ত্তী।

 সুকান্ত চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, মহম্মদপুর সদরের বাজার রাজানগর গ্রামের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সংলগ্ন আমাদের এস এ ৩২ নাম্বার দাগে পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। জমিটি দীর্ঘদিন আমাদের ভোগ দখলে থাককালীন অবস্থায় শ্যামনগর গ্রামের মৃত ফছিয়ার মোল্যার ছেলে মোস্তাফিজুর বাবুল মোল্যার নেতৃত্বে কিছু দৃর্বত্তকারীদের সহায়তায় আমাদের জমি জবর দখল করার চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে আমার পিতা মৃত রাম গোপাল চক্রবর্ত্তী নিন্ম আদালতে মামলা দায়ের করেন মামলায় বিজ্ঞ আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেন।   পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোটে প্রতিপক্ষদের সাথে সোলেমূলে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে জমি ভাগাভাগি/বাটোয়ারা করে বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। ঘটনার দিন মঙ্গলবার আমাদের জায়গার কিছু অংশে নির্মান কাজ করার সময় ফছিয়ার মোল্যার ছেলে মিজানুর রহমান নেতৃত্বে তার ভাই জাফর, ফিরোজসহ আরো ১০-১৫ জন নিয়ে হামলা করে নির্মানাধীন স্থাপনা হাতুড়ী, লোহার শাবল দিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় আমরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে খুন করার হুমকি দিয়ে আমাদেরকে মারপিট করতে এগিয়ে আসলে আমরা প্রাণ ভয়ে স্থান ত্যাগ করি। এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। পুনরায় হামলা ও উচ্ছেদ আতংকে ভুগছে পরিবারের সদস্যরা। প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা করে নির্মানাধীন স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদ শ্রী কানু তেওয়ারী এঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান। এ বিষয়ে বাবুল মোল্যার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, সংখ্যালঘু পরিবারের জমির স্থাপনা ভাংচুরের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।