বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মাগুরা শহরের নতুন বাজার মাছ বাজারের চান্দি ঘরটি ভেঙ্গে ফেলার পর ৫ বছর পার হলেও নতুন করে চান্দি ঘর নির্মাণ না করায় ব্যাপক জনদূর্ভোগ তৈরী হচ্ছে। বাজারের ভেতরে কাদা পানি আর ঘিঞ্জি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অনেকেই এখানে বাজার করতে আসছেন না। তার উপর করোনা পরিস্থিতিতে ফাকা হয়ে বসে ব্যবসা পরিচালনা বা কেনাকাটা কোনটাই সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ বাজার থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন ক্রেতারা। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বাজারের ব্যবসায়ী মিলন মিয়া, সুবাস মালোসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গত পৌর নির্বাচনের পর পুরাতন ধ্বসে পরা ছাদ ও বিপদজনক স্থাপনার কথা বলে পাকা চান্দি ঘরটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ সময় স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ও জনগণকে বলা হয় অল্প দিনের মধ্যেই এখানে উন্নতমানের চান্দিঘর নির্মাণ করা হবে। যেখানে থাকবে বিভিন্ন আধুনিক সুযোগ সুবিধা। অথচ এরপর ৫ বছর কেটে গেছে। নতুন করে পৌর নির্বাচন এসে গেলেও কেউ খোজ নিচ্ছেনা জেলা শহরের প্রধান হাট ও বাজারের এ স্থাপনাটির। তারা জানান- বাজারের মধ্যে সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা জমে যায়। পানি বের হওয়ার জায়গা না থাকায় মাছের গায়ে ছিটানো পানিতেই অধিকাংশ সময় কাদাপানিতে সয়লাব থাকে বাজারের ভেতর। এরফলে অনেকেই এখন আর বাজার করতে এখানে আসতে চান না। ফলে আমরা ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আমরা নিয়মিত খাজনা দিয়েও সরকারি কোন সুযোগ সুবিধাই পাচ্ছি না। মাছ চান্দি না থাকায় ব্যবসা কম হচ্ছে। ফলে এখানকার প্রায় ১শ ব্যবসায়ী তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ভোগান্তিতে আছি। এ ব্যাপারে নানা সময়ে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দেন দরবার করেও কোন লাভ হয়নি।
এ বাজারের নিয়মিত ক্রেতা স্কুল শিক্ষক আবু নাইম জানান- শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ বাজারটির প্রতি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের যেন কোন খেয়ালই নেই। সপ্তাহে দুদিন এখানে হাট বসে। সে সময় মাছে ছিটানো পানি কাদায় এলাকার পরিবেশ ভয়ানক অস্বাস্থ্যকর হয়ে পরে। ঠিকমত পরিস্কার না করায় দূর্গন্ধে সবসময় নাকে কাপড় দিতে হয়। এদিকে বাজারের ভেতরে ঘিঞ্জি পরিস্থিতির কারণে করোনার এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে ঢোকা ভীতিকর হয়ে পড়ছে। ফলে আমরা পারত পক্ষে বাজারে আসছি না। এখানে আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।
এ ব্যাপারে মাগুরা পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মো : মাহবুবুর রহমান জানান, মাগুরা পৌরসভার পক্ষ থেকে এখানে একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মাছ বাজারের প্রকল্প ইতিমধ্যে অনুমোদন করে টেন্ডার ও ঠিকাদার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এডিবি থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে আসলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এখানে মাছ চান্দির নির্মাণকাজ শুরু হবে।

 

রূপক /মাগুরা/৪ সেপ্টেম্বর ২০২০