পয়ঃবর্জ্যক সম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে- মাগুরায় সেমিনারে বক্তারা
বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
বাংলাদেশের মানুষ প্রতিদিন ৮০ হাজার টন মল ত্যাগ করে। সঠিক পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে এই মলের ৯৯ শতাংশই পরিবেশের ভয়াবহ দূষণ ঘটায়। বাড়ায় পানি বাহিত রোগ। অথচ এই মল কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি জৈব সারসহ নানা কাজে লাগানো যেতে পারে। যা সম্পদে রূপান্তরিত হতে পারে। মাগুরা পৌরসভা মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক কর্মশালায় এ মতামত দিয়েছেন আয়োজকরা।
প্রাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বিল এন্ড ম্যালিন্ডা গেটস্ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মাগুরা পৌরসভা এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৫০ জন মানুষ অংশ নেয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মাহাবুবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন, এলজিইডি’র প্রকৌশলী তাসমিন আক্তার, পৌর প্যানেল মেয়র মকবুল হাসান মাকুল, প্রাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাইফ মঞ্জুর, সমন্বয়কারী প্লাবন গাঙ্গুলী, পৌর সমন্বয় কর্মকর্তা খোন্দকার আহসান রাকিব, মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পদক শামীম খান, নারী নেত্রী লিপিকা দত্ত, উদয় শংকর রায় প্রমুখ।
কর্মশালায় প্রাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান, উন্নত বিশ্বে পয়ঃবর্জ্যকে জ্বালানীতে রূপান্তর ঘটিয়ে পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এটি ব্যাপক ভুমিকা রাখছে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ফরিদপুরে একটি বড় আকারের পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট স্থাপিত হয়েছে। মাগুরা শহরতলীর শিমুলিয়া এলাকায়
৩ একর এলাকাজুড়ে এধরণের একটি প্লান্ট স্থাপনের কাজ চলছে।
কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন বলেন,‘আমাদের কৃষি জমিতে কমপক্ষে ৫ শতাংশ জৈব উপাদান থাকা প্রয়োজন। সেখানে আছে মাত্র দেড় শতাংশ। পয়ঃবর্জ্যরে মাধ্যমে জৈব সার তৈরী করে এই সংকট দুর করা সম্ভব’।