শালিখা প্রতিনিধি
ষষ্ঠবারের মতো দেশে রবিবার (৯ জুন) থেকে কৃষি শুমারির (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে এই শুমারির তথ্য সংগ্রহ চলবে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে সারাদেশে শহর ও পল্লি এলাকায় ‘কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি-২০১৮’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কৃষি শুমারি-২০১৯ পরিচালনা করছে। এই শুমারি বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে পরিচালিত হবে। এরই ধারাবাহিকতাই মাগুরার শালিখা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ১১৮টি গ্রামেই চলছে কৃষি শুমারির গণনা ৷ শালিখা উপজেলার সাবেক পরিসংখ্যান অফিসার দিলিপ কুমার রায়, উপজেলা কৃষি শুমারি জোনাল অফিসার মোঃ রোজাউল ইসলাম ও কৃষি শুমারি জোনাল অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কৃষি শুমারি পরিচালনার মাধ্যমে কৃষি খানার সংখ্যা, খানার আকার, ভূমির ব্যবহার, কৃষির প্রকার, শস্যের ধরণ, চাষ পদ্ধতি, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগীর সংখ্যা, মৎস্য উৎপাদন ও চাষাবাদ সংক্রান্ত তথ্যাদি এবং কৃষি ক্ষেত্রে নিয়োজিত জনবল সম্পর্কে তথ্য নেয়া হচ্ছে৷ এ ছাড়াও তথ্য-উপাত্ত কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বেঞ্চমার্ক তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা দেশব্যাপী বৃহৎ আকারে পরিচালিত একটি পরিসংখ্যানিক কার্যক্রম। প্রতি দশ বছর পর পর কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। পরিসংখ্যান আইন-২০১৩ অনুযায়ী জনশুমারি এবং অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি পরিচালনা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে’। ১৯৬০ সালে প্রথম বারের মত এদেশে নমুনা আকারে কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।পরবর্তীতে বাংলাদেশে ১৯৭৭ সালে প্রথম কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩-৮৪, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। আর ষষ্ঠ বারের মত দেশে কৃষি শুমারি ২০১৯ পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছেন সরকার। তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিটি গণনা এলাকায় স্থানীয়ভাবে শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের গণনাকারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে ৷ নিয়োগকৃত কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় বেশ জোরে স্বরে গণনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ৷