বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
পূর্ব বিরোধের জের ধরে মাগুরার শালিখা উপজেলার গজদূর্বা গ্রামে ধনেশ্বরগাতি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড এর সদস্য দাউদ মন্ডলের(৪৫) পা কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসি জানায়- ধনেশ্বরগাতি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড এর গজদূর্বা গ্রামের মাতব্বর রাজ্জাক মোল্যার সাথে ইব্রাহিম মোল্যার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত বছর ২ নভেম্বর ইব্রাহিম মোল্যার ভাই মেহেদীকে দিনে দুপুরে কুপিয়ে মারাত্মক যখম করে প্রতিপক্ষরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ নভেম্বর মেহেদী মারা যায়। এ ঘটনার পর ইব্রাহিম মোল্যার সমর্থকরা রাজ্জাক মোল্যার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাংচুর করে গ্রাম থেকে বিতারিড় করে। সম্প্রতি পুুলিশের মধ্যস্ততায় রাজ্জাক মোল্যা ও ইব্রাহিম মোল্যার সমর্থকদের মধ্যে মিমাংসা হয়ে যায়। এ মিমাংসা প্রক্রিয়ায় মধ্যস্ততা করে ইব্রাহিম মোল্যার সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি মেম্বর দাউদ মন্ডল। এরপর রাজ্জাক মোল্যার সমর্থকরা এলাকায় নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরে আসে। এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে ক্ষোভে ফুসছিল ইব্রাহিম মোল্যার লোকজন।  এ অবস্থায় দাউদ মন্ডল রাজ্জাক মোল্যার সামাজিক দলে মিশে যেতে চাইলে মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে দিঘলগ্রাম এলাকার তেতুলবাড়িয়া ভিটায় মোটর সাইকেল থামিয়ে দাউদ মন্ডলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে তার ডান পা বিচ্ছিন্ন করে দেয় ইব্রাহিম মোল্যার লোকজন। এ সময় তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সংঘর্ষে লিপ্ত উভয়পক্ষই এলাকায় আওয়ামীলীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান- একের পর এক মারামারি, ভাংচুর ঠেকাতে ওই এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক সমাবেশ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। সম্প্রতি উভয় পক্ষের সম্মতিতে আর কোন মারামারি না করার শর্তে উভয় পক্ষ শান্তির পক্ষে মত দেন। কিন্তু গতরাতে আবার এ হামলা হয়েছে। এ অবস্থায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে।

মাগুরা / ২১ নভেম্বর ১৮