রূপক আইচ, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
জমি আছে ঘর নেই এমন শ্রেণীর হত দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের তৈরী করে দেয়া ঘর পেতে কোন প্রকার অনিয়ম দূর্ণীতিকে প্রশ্রয় না দেয়ার অঙ্গীকার করলেন মাগুরা সদর উপজেলার ২১৮জন দরিদ্র মানুষ।
সোমবার দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে কাউকে কোন টাকা পয়সা না দেয়ার শপথ নেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘জমি আছে ঘর নেই’ এমন হতদরিদ্র শ্রেণীর মানুষের জন্য প্রত্যেককে এক লাখ টাকা খরচে আধাপাকা এ ঘর তৈরী করে দেয়া হচ্ছে।
সভায় উপস্থিত বীরপুর গ্রামের হতদরিদ্র বিধবা জরিনা বেগম জানান- সামান্য ৪ শত জমির উপর আমার একটি কুড়ে ঘর ছিল। তাও এ বছর কালবৈশাখী ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। প্রতিবেশীর বাড়ির বারান্দায় রাত কাটাই। এবার ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নতুন বাড়ি দিচ্ছেন। জেনে আনন্দে আমার কান্না পাচ্ছে।
একই ধরনের অনুভূতি জানালেন রামদেরগাতি গ্রামের বৃদ্ধ আক্তার মোল্যা, বেঙ্গা গ্রামের নিমাই পালসহ অনেকে। তারা জানান- বাড়ি পেতে আমাদের যেন এক টাকাও খরচ করতে না হয় তার জন্য আজ আমাদের শপথ করানো হয়েছে। আমরা এ শপথ রক্ষা করবো।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সদর উপজেলার ২১৮ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে প্রত্যেকের জন্য এক লাখ টাকা খরচে এ বাড়ি তৈরীর কাজ চলছে। স্ব স্ব বাড়ির নির্মাণ কাজের সঙ্গে সুবিধাভোগীরা নিজেরাই সংশ্লিষ্ঠ থাকবেন। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি বাড়ি বিতরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কথা বলে এক শ্রেণীর টাউট বাটপার দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। অথচ এ ক্ষেত্রে ফটোকপি করার ১০টি টাকাও নেয়ার কোন এক্তিয়ার কারও নেই। কেউ যেন অসৎ উদ্দেশ্যে এদের কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নিতে না পারে তার জন্য সচেতন করতেই এ সভা আহবান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ঠ চেয়ারম্যানবৃন্দ এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছেন। আশাকরি দূর্ণীতিমুক্তভাবে কাজটি সমাধান করে অতিশিঘ্রই অতিদরিদ্র এসব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে পারবো।
ইউএনও আবু সুফিয়ান এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঘবদাইড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম বাবুল ফকির, হাজরাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন, বেরইল পলিতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহব্বত হোসেন, জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ অন্যরা। জানা গেছে জেলার ৪ উপজেলায় এ প্রকল্পে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে প্রায় ১ হাজার বাড়ি তৈরী করে দেয়া হবে।
মাগুরা /১১ জুন ১৮