বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মাঙ্গনডাঙ্গা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী এক দরিদ্র বৃদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করেছে কাদিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক  মো: নেপচুন বিশ্বাস। ফাতেমা বেগম (৫৫) নামের ওই নারীকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  জমি থেকে উচ্ছেদের জন্য ওই নারীর উপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফাতেমা বেগম বলেন- প্রায় ২০ বছর আগে তার স্বামী মান্নাফ মোল্যা চিলগাড়ি গ্রাম থেকে মাঙ্গনডাঙ্গা গ্রামে এসে ১০ শতক জমি কিনে বাড়ি তৈরী করেন। এ গ্রামে ফাতেমা বেগমের বাবার বাড়ি। সম্প্রতি তাদের প্রতিবেশী ইসরাইল বিশ্বাস ও আব্দুল হাই তাদের জমির ভেতরে জমি পাওয়ার কথা বলে তাদের গাছের আম কাঠাল জোরকরে পেড়ে নিয়ে যান। ১৫দিন আগে মাগুরা থেকে জমি মাপার জন্য আমিন নিয়ে এসে তাদের উভয়ের জমি মাপ দেয়া হয়। এতে প্রতিপক্ষ তার ভেতরে কোন জমি পাবে না মর্মে জানিয়ে তাদের জমিতে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু গত শনিবার বিকেলে ইসরাইল বিশ্বাসের ছেলে নেপচুন ও মন্নু জোর করেই তাদের জমির আমগাছে উঠে আম পাড়তে থাকে। এ সময় তিনি বাধা দিলে তাকে লাঠি ও কুড়াল দিয়ে আক্রমন করে ছাত্রলীগ নেতা নেপচুন ও তার ভাই। কুড়ালের আঘাতে তার কনুয়ে বেশ খানিকটা জায়গা কেটে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে শ্রীপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে তিনি মামলা করবেন বলে জানান।
তার পরিবারকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদের জন্যই বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি, হুমকি ধমকির রেশ ধরেই এ মারপিটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান দিনমজুর পরিবারের গৃহবধূ ফাতেমা বেগম।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়জুর রহমান জানান- আহত অবস্থায় ওই নারীর চিকিৎসা চলছে। তবে তার অবস্থা আশংকাজনক নয়।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান- ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। কেন ওই নারীকে মারপিট করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নেপচুন বিশ্বাস মারপিটের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন-  ওই মহিলাই উল্টো তার ভাইকে মারপিট করেছে।  মহিলা গরীব হলেও কারও কথা শোনে না।  মামলা করলে করুক।

রূপক /মাগুরা /৩ জুন ১৮