স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ঘুল্লিয়া গ্রামে বৃহষ্পতিবার ইফতারের পরে রাস্তার জায়গায় ফুলগাছ লাগানো নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দু-পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৩ জন আহত ও অন্তত ১১টি বাড়ি ও দোকানঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে বক্কার শেখ (৪০) , মতিয়ার লষ্কর (৫০), আলমগীর (৩৫), রফিক (৩৫), শাহীন (২৫), সাইফার (৩২), জাফর (৪০), ইসলাম (৫৫), রবিউল (২৫), নাজমুল (২৬), খায়রুল (২৮),ও মনিরুল (২৫) কে মাগুরা সদর হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আজিজার লষ্কর (৫০), মাফুজা (৫০), রাজিব(২৫),হাসিব(২০), কুদ্দুস(৫০), তারিকুল (২৮),আলামিন (২৫), অন্ত (২৫),সাহিদ (৪৫), লুতফার (৩৫) ও মাহাবুব (২৫) কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আওয়ামীলীগ নেতা ও বিনোদপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান ও একই এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা পিকুল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মনোমালিন্য চলছিল। এঘটনার জের ধরে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় ঘুল্লিয়া গ্রামে রাস্তার পাশের সরকারি জায়গায় মিজান শিকদার সমর্থক ফারুক একটি ফুল গাছ লাগাতে গেলে পিকুল এর সমর্থক আজিজার বাধা দেয়। এসময় দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে দু-পক্ষের লোকজন ঢাল-সড়কি, রামদা, ছ্যানদা নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে ২ ঘন্টার ও বেশি সময় ধরে চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ২ ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষের ২৩ জন আহত হয় এবং এসময় নুর ইসলামের ২ টা, কুদ্দুস শেখের ১টা, মতিন ফকিরের ১টা, বেলায়েত ফকিরের ২টা, মাফুজার শেখের ১টা, ফিরোজ শেখের ১টা, জাফর শেখের ১টা এবং জাকের মোল্যা ও শাহিদ শেখের ২টি দোকানঘর সহ মোট ১১টি বাড়ি-ঘরে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
মাগুরা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা: সাদুল্লাহ জানান, হাসপাতালে ভর্তি আহতরা সবাই আশংকামুক্ত। তাদের চিকিৎসা চলছে।
মহম্মদপুর থানার ওসি মো: তারীকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।
মাগুরা /১ জুন ১৮
