বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সরকারি হিসেবে মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী মৌজার ধানি শ্রেণীর প্রতি শতক জমির মূল্য ১লাখ ৪হাজার ৪৪৭টাকা। সম্প্রতি ওই মৌজার ৮শতক ধানি শ্রেণীর জমি পুকুর শ্রেণী উল্লেখ করে ৪৪৮৬/১৭ নম্বর দলিলে প্রতি শতক বিক্রি লেখা হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ৮১৬টাকা দরে। সে হিসেবে একমাত্র ওই দলিলটিতেই সরকার রাজস্ব হারিয়েছে  ৫ লাখ ৯১ হাজার ৬৮২টাকা।   মাগুরা সব রেজিস্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে এ ধরনের একাধিক জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে অবমূল্যায়নের তথ্য পাওয়া গেছে। দৈব চয়ন পদ্ধতিতে যাচাই করা তদন্তে কমপক্ষে ৪টি দলিলেই এ ধরনের জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। যা ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রনালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন একাধিক সূত্র জানায়- মাগুরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতিমাসে প্রায় ১ হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এসব দলিলের একটি বড় অংশেরই শ্রেণী পরিবর্তন করে রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে। অনেক  জমিতেই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করায় প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সে হিসেবে বছরে কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার। এ ধরনের দলিল তৈরীতে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সাব রেজিস্টারসহ এক শ্রেণীর দলিল লেখক ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে  অনিয়ম দূর্ণীতির কথা অস্বীকার করে মাগুরা সদর সাব রেজিস্ট্রার আলী আকবর জানান- সংশ্লিষ্ঠ প্রতিটি কাগজের সাথে মিল রেখেই দলিল করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে এস এ পর্চা ও আরএস পর্চার ভিন্নতার কারণে শ্রেণী নিয়ে দুএকটি ব্যত্যয় দেখা দিতে পারে।
এ প্রসঙ্গে মাগুরার জেলা প্রশাসক মোঃ আতিকুর রহমান জানান-  অভিযোগ পেয়ে আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি তদন্ত পরিচালনা করি। ওই তদন্ত রিপোর্ট আইন মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।

রূপক আইচ/মাগুরা /২০ মে ১৮

 

একটি মানবিক আবেদন:  মৃত্যুর দূয়ার থেকে ফিরে আসুক প্রিয় শিল্পী বাবুল

 

আমরা কি পারি না বাবুলকে মৃত্যু দুয়ার থেকে ফিরিয়ে আনতে ?