বিশেষ প্রতিনিধি
প্রশ্ন ফাঁস রোধে যেমন প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা তেমনি অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের নৈতিকতার শিক্ষা প্রদান। সরকারের গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপ সফলতার মুখ দেখতে পাবেনা যতদিন অভিভাবক হিসেবে আমরা আমাদের সন্তানদের অনৈতিক পথ পরিহার করতে উৎসাহিত করবো।

এক সমীক্ষায় জানা যায়, অভিভাবকদের চাপের মুখেই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয় ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে। অনেক শিক্ষার্থীরাই অভিযোগ করে, পরীক্ষায় এ প্লাস না পেলে কিংবা ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলে অভিভাবক কর্তৃক নেমে আসতে পারে ভয়াবহ মানসিক নির্যাতন। তাই অভিভাবকদের মন জয় করতে পরীক্ষার আগে প্রশ্ন খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পরে অনেকে। আর অভিভাবকদের প্রশ্রয় ব্যাতিত কোন শিক্ষার্থীই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন কেনার সামর্থ্য রাখেনা। কিন্তু এই বাস্তবতা কি চেয়েছিলাম আমরা?

আমাদের সন্তানদের একটি সুশিক্ষিত মানুষ হিসেবে না গড়ে আমরা কেন শুধু পরীক্ষায় ভালো করানোর মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ কে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছি?  আমরা কি ভুলে গেছি কবির সেই বিখ্যাত দুটি লাইন “গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন” এর মানে? আমরা কি ভুলে গেছি রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল, টমাস আলভা এডিসন, বিল গেটস, জ্যাক মা এর মতো পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে বিকশিত হয়নি?

তাই আসুন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি আদর্শ ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ফাঁসকৃত প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিতে নিরুৎসাহিত করি এবং তাদের উপর নিজেদের আশা আকাঙ্খার বোঝা না চাপিয়ে সুশিক্ষা অর্জনে উৎসাহিত করি।

মাগুরা/১ এপ্রিল ১৮