বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
একের পর এক বিধি বহির্ভূত ডেপুটেশন বা সংযুক্তি দেয়ার ফলে মাগুরার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এর ফলে প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামগুলিতে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার মান নিম্নগামি হচ্ছে। অন্যদিকে শহরের স্কুলগুলিতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী শিক্ষক পোষ্টিং পেয়ে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

সরেজমিনে বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে গ্রামের স্কুলগুলি থেকে যে যেভাবে পারছে শহরমুখি হচ্ছে। এতে নীতিমালার কোন তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।  সেখানে জেলা সদরের বিভিন্ন স্কুলে অনৈতিকভাবে ডেপুটেশন নেয়া ৬২জন শিক্ষাকের একটি তালিকা পাওয়া গেছে।  দেখা গেছে সদরের চেঙ্গারডাঙ্গা স্কুল থেকে ৪ শিক্ষকের মধ্যে ২জনই ডেপুটেশন নিয়ে চলে এসেছেন। ফলে মাত্র একজন শিক্ষক নিয়ে স্কুল চালাতে হচ্ছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বিভাবতী রায়কে। একজন মাত্র সহকারি শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটি নেয়ায় এখন সবেধন নিলমনি তিনি। ফলে স্কুলের কার্ যক্রম বলতে গেলে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণ চেয়েছেন ওই এলাকার জনগণ।

জানা গেছে, মাগুরা সদর উপজেলায় ১৮৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৯১১ জন। কিন্তু কর্মরত আছেন ৮৭৬ জন। মাত্র ৩৫ জন শিক্ষকের সংকট থাকলেও অনৈতিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ডেপুটেশনে থাকা ৬৪ জন শিক্ষক নতুন সংকটের সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় ডেপুটেশনের নামে ওই শিক্ষকদের সংযুক্তির আদেশ বাতিল করা হলে কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট শিক্ষক সংকট অনেকটাই লাঘব হবে বলে তাদের আশাবাদ।

মাগুরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট এবং কোথায়ও অতিরিক্ত শিক্ষকের ডেপুটেশনে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে পুরো বিষয়য়টির জন্য সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করে বক্তব্য দিয়েছেন।

মাগুরা জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে জেলার মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নের স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় ডেপুটেশনের নামে সংযুক্তির আদেশ বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মাগুরা/১ এপ্রিল ১৮