বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
আজ ২৫শে মার্চ ভয়াল গণহত্যা দিবস । মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাথাময় এই দিনেই স্বাধীনতার প্রকৃত মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছিল গণহত্যার নারকীয়তায় শহীদের আত্নত্যাগের মাধ্যমে। যুদ্ধের ডাক আগেই দিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে ডাকে নিরস্ত্র বাঙ্গালীর বুকের রক্ত বৃথা যায়নি। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে রচিত হয়েছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। নাম বাংলাদেশ। আজকের এই রাতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার তারাউজিয়াল (মুন্সীপাড়া) গ্রামের সূর্য সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান শহীদ বুদ্ধিজীবী আবু নাসের মোহাম্মদ মুনীরুজ্জামান পাকহানাদারদের হাতে শহীদ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারী শিক্ষক বাস ভবনে। জাতীয় পাঠ্য পুস্তকের পঞ্চম শ্রেণির বই এ তাকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ থাকলেও মাগুরার বুকে এই আত্নত্যাগী মানুষটির একটি নিশানাও খুঁজে পাওয়া যায়না । এই নিয়ে ক্ষোভ ও কষ্ট রয়েছে তার পরিবার ও পরিজনদের। দুঃখ ভরাক্রান্ত মনে শহীদ বুদ্ধিজীবী এএনএম মুনীরুজ্জামানের নাতি তাছিন জামান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের ভয়াল রাতে পবিত্র কুরআন শরীফ তেলোয়াতরত অবস্থায় পাক সেনারা মুনীরুজ্জামানকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে । পরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেই মাটিচাপা দিয়ে চলে যায়। অথচ শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে কেউ কোনোদিন তাদের খোঁজ নেননি। মনীরুজ্জামানের ভাইয়ের ছেলে তারাউজিয়াল গ্রামের  ডা.শাহিদুজ্জামান খসরু বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী এএনএম মুনীরুজ্জামানের স্মৃতি ধরে রাখতেই তার গ্রামের বাড়িতে মনীরুজ্জামান স্মৃতি পাঠাগার করা হয়েছিল।কিন্তু কোনপ্রকার পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় এখন পাঠাগার তো দূরে থাক একটি বইও নাই। সরকারি বা বেসরকারি কেউ কি এগিয়ে আসতে পারেনা এই মহান আত্মনিবেদিত শিক্ষকের স্মৃতি রক্ষায় ?