শালিখা প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম:
শালিখায় উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার শেখ মতিয়ার রহমানকে ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ২ শতক জমিকে আধা শতক দেখিয়ে বানোয়াট রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ করেছে একটি সংখ্যালঘু পরিবার।
পরিবারটির অভিভাবক পুলুম গ্রামের রনজন রজক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, শালিখা থানার ৯০ নং পুলুম মৌজার সাবেক দাগ ৫৫৫ ও হাল ১০৫৯ নং দাগে দুই শতাংশ জমি নিয়ে মো: কামরুজ্জামান মোল্যা দীর্ঘ দিন ধরে আমার পরিবারের সাথে বিরোধ করে আসছিলেন। বিরোধের এক পর্যায়ে আমাকে হয়রানির জন্য ১৮/০৭/২০১৭ তারিখে মোকাম মাগুরার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মো: কামরুজ্জামান মোল্যা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত বিরোধীয় স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে সরেজমিন তদন্ত করে ২৮/০৮/ ২০১৭ তারিখে আদালতে রিপোর্ট প্রেরণ করেন এবং বিরোধীয় স্থানে আমার ২ শতাংশ জমি রয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন। পরে বাদী তদন্ত প্রতিবেদনে না রাজি দিলে আদালত উপজেলা ভূমি অফিসকে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ০৬/০৩/ ২০১৮ তারিখে সেখানকার সার্ভেয়ার শেখ মতিয়ার রহমান বিরোধীয় স্থানে তদন্তে যান। তিনি আমাকে ও আমার পুত্র রমেন রজককে গোপনে ডেকে তদন্ত রিপোর্ট  পক্ষে দেওয়ার বিনিময়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তখন  আমার পুত্র  বলে  সঠিক তদন্ত রিপোর্ট  যা হয় তাই দেন। র্স্যা আমি গরিব মানুষ কোন টাকা পয়সা দিতে পারবোনা। এ পর্যায়ে সার্ভেয়ার সাহেব রেগে গিয়ে বলেন  তদন্ত  রিপোর্ট  সঠিকই হবে, তবে আপনার কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি যেন কেউ না  জানে। এরপর গত ১৩/০৩/২০১৭ আদালতে যে প্রতিবেদন পেশ করেন, সেখানে আমার ২ শতাংশ জমির স্থানে আধা শতাংশ জায়গা রয়েছে বলে তার স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। যা সম্পূর্ন বানোয়াট।

অভিযোগের ভিত্তিতে সার্ভেয়ার মতিয়ার রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন  মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এব্যাপারে গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজ হোসেন বলেন, বিরোধীয় স্থানে একাধিক বার পরিমাপ করা হয়েছে। সেখানে গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে  রনজনদের ২ শতক জমিও বুঝে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে বিরোধীয় ঐ স্থানে মামলা হয়েছে এবং নায়েব সাহেব আদালতে যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন সেখানে রমেন রজকদের ২ শতাংশ জমি উল্লেখ আছে। যাহার সার্টিফাইড কপিও আমি দেখেছি। এব্যাপারে রনজন রজকের পরিবারসহ এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা এই বানোয়াট প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য সার্ভেয়ার শেখ মতিয়ার রহমানের শাস্তি ও পূনরায় সঠিক তদন্তের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

দেবু/ মাগুরা/ ১৮ মার্চ ১৮