কলকাতা থেকে মাগুরার পথে মধুর স্মৃতি নিয়ে … খান শফি
মাগুরার প্রিয় মুখ, সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রিয় শিক্ষক খান শফিউল্লাহ ও তার ৩ সহকর্মী রবিবার (১৭ ডিসেম্বর ১৭) বেরিয়েছেন নেপাল, ভুটান ও ভারত ভ্রমণে। তাঁদের এই ভ্রমণের সংক্ষিপ্তসার তিনি প্রতিদিন জানাচ্ছেন মাগুরাবার্তার পাঠকদের। প্রিয় শিক্ষকের ভ্রমণে সঙ্গী হবো আমরা। মাগুরাবার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি শুভ কামনা। নেপাল থেকে শুক্রবার পৌঁছেছেন ভূটান। ভুটান থেকে বুধবার এসেছেন ভারতের দার্জিলিং শহরে । শনিবার সকালে দার্জিলিং থেকে এসে পৌছেছেন কলকাতায়। আজ রবিবার কলকাতা থেকে দেশের এসে পৌছেছেন। ১৫তম ও শেষ দিনের ভ্রমণ ও অনুভূতি জানিয়েছেন …..
খান শফিউল্লাহ….
আমার ছাত্র স্বরূপ। প্রায় ২৩ বছর পর কলকাতায় দেখা। ও কলকতায় আমাদের ট্যুরকে আনন্দময় করে তুলেছিলো। শনিবার রাতে আমিনিয়া রেষ্টুরেন্টে এ স্বরূপের আয়োজনে ডিনারে অংশ নিলাম। ডিনার শেষে হোটেলে গোল্ডেন ইন এ পৌঁছে দিয়ে স্বরূপ বিদায় নিলো। আজ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭। ট্যুর শেষে ফেরার পালা। ট্যাক্সি ড্রাইভার অভিজিৎ দা যথা সময় হজির। সকাল ৭:০০ টায় হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়লাম বেনাপোল এর উদ্দেশে। মেট্রোপোল থেকে বেনাপোল। বেড়ার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত। আসতে লাগে দুই মিনিট। দুই প্রান্তের সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে মাতৃভূমির মাটি ছুঁতে লাগলো সাড়ে চার ঘন্টা। টানা ১৫ দিনের ট্যুরে নেপাল ,ভুটান এবং ভারতের দার্জিলিং ও কলকাতার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে আমাদের উপলব্ধি হলো, বাংলাদেশে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের আছে সাগর, পাহাড়, নদী, বিস্তৃত সমভূমি, সবুজের সমারোহ, বিচিত্র ফসলের মাঠ, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। এ সম্ভাবনাগুলো পরিকল্পনা মাফিক কাজে লাগিয়ে আমরাও হতে পারি পৃথিবীর অন্যতম পর্যটনসমৃদ্ধ দেশ। magurabarta24.com এবং সাংবাদিক রূপক আইচকে বিশেষ ধন্যবাদ ট্যুরকালে আমাদের প্রতিদিনের ভ্রমণবৃত্তান্ত প্রকাশের জন্য। যাঁরা পাঠক হিসেবে এ কয়দিন আমাদের সাথে ছিলেন আপনাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ রইলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ বহির্গমন ছুটি মঞ্জুর করে এমন একটি সুন্দর ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়ার জন্য। আমরা চার সহকর্মী এক প্রাণ হয়ে সুস্থ থেকে ট্যুরটাকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। সবার আগে দেশ। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি। এ অনুভূতির পরশে জাগরিত হোক আমাদের হৃদয়াবেগ।