মাগুরার প্রিয় মুখ, সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রিয় শিক্ষক খান শফিউল্লাহ ও তার ৩ সহকর্মী রবিবার (১৭ ডিসেম্বর ১৭) বেরিয়েছেন নেপাল, ভুটান ও ভারত ভ্রমণে। তাঁদের এই ভ্রমণের সংক্ষিপ্তসার তিনি প্রতিদিন জানাচ্ছেন মাগুরাবার্তার পাঠকদের। প্রিয় শিক্ষকের ভ্রমণে সঙ্গী হবো আমরা। মাগুরাবার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি শুভ কামনা। নেপাল থেকে শুক্রবার পৌঁছেছেন ভূটান। ভুটান থেকে আজ এসেছেন ভারতের দার্জিলিং শহরে । জানিয়েছেন ১১তম দিনের ভ্রমণ বৃত্তান্ত…..
খান শফিউল্লাহ….
বিকাশ কুমার শুক্লা। আমাদের আজকের ট্যাক্সি ড্রাইভার। জয় গাঁ থেকে সকাল ৭:০০ টায় যাত্রা করলাম দার্জিলিং এর পথে। ভুটানের নয়নাভিরাম পাহাড় আর জয় গাঁর সমতল ভূমির চা বাগানের অপরূপ সৌন্দর্যকে পেছনে ফেলে আমরা এগিয়ে চলেছি। পথে জলপাইগুড়িতে তিস্তা নদীর পাড়ে হোটেল সোনারগাঁওতে লুচি সব্জি ওমলেট নাস্তা করলাম। তিস্তার বুকে ধু ধু বালুচর পিছনে ফেলে আমরা বিকাল ৪:০০ টায় দার্জিলিং পৌছে হোটেল সুইট হোমে উঠলাম। কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পাহাড়ি শহর দার্জিলিং দেখতে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দার্জিলিং শহরের উচ্চতা ৮,০০০ ফিটেরও বেশি। ফুন্টশলিং এবং জয় গাঁ ভুটান এবং ভারতের দুটি সীমান্ত শহর। শহর দুটি ছেড়ে আসার আগে বার বার একটি বিষয় মনের কোণে উকি দিচ্ছিল। উন্মুক্ত সীমান্ত ! এও কি সম্ভব ? কোন কাটা তারের বেড়া নেই। পুলিশের কোন কড়াকড়ি নেই। ভুটানের নাগরিক অবাধে জয় গাঁ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কেনাকাটা করছে। ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ফন্টশলিং শহরের অবস্থাও একইরূপ। দেখলাম বর্ডারের দুই পাড়ে দুই দেশের মানুষের মিলন মেলা। বিদেশ ভ্রমণে এসে এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান, বিশ্বাস, আস্থা আর মর্যাদাবেধের এ সুখস্মৃতিকে অন্তরে ধারন করেই শুরু হবে আমাদের আগামীকালের পথচলা।