বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
আজ ১৪ ডিসেম্বর। বেদনার শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস। দিনটি পালনে সরকারি বেসরকারি নানা আয়োজন থাকলেও মাগুরার শহীদ বুদ্ধিজীবিদের খবর কেউ কি রাখেন?
তেমনি একজন বুদ্ধিজীবি এএনএম মুনীরুজ্জামান।  মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামের সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান শহীদ বুদ্ধিজীবী আবু নাসেম মোহাম্মদ মুনীরউজ্জামান শহীদ হন। কিন্তু মাগুরার নতুন প্রজন্ম তাকে চেনেন না একেবারেই। এমনকি তার নিজ গ্রামের অনেকেই জানেন না মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখান বিভাগের এই শিক্ষককে।  জনাব মুনীরউজ্জামান ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ শিক্ষক। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের রাতে পবিত্র কুরান শরীফ পড়া অবস্থায় পাক হানাদার বাহিনী তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্য বইয়ে একটি প্রবন্ধে তাকে সহ অন্যান্য শহীদ বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে একটি লেখা রয়েছে। কিন্তু মাগুরায় জনাব মুনীরউজ্জামান এর নাম উচ্চারিত হয়না কখনও। Sohid Buddhijibi News related pic 2

তাঁর  ভাই এর ছেলে তারাউজিয়াল গ্রামে ডা.শাহিদুজ্জামান খসরু জানান, জনাব মুনীরুউজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তার অবস্থান থাকায় ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের রাতে কোরআান পড়া আবস্থায় টেনে হেচড়ে নিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মধ্য মাটি চাপা দেয়। এই শহীদ শিক্ষককে নিয়ে সরকারি কিংবা বেসরকারি  কোন আয়োজন চোখে পড়ে না। শহীদ পরিবার হিসেবেও পরিবারের কাউকে কখনো আহবানও করা হয়না।

মাগুরার স্থানীয় নতুন প্রজন্মের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষক এটিএম আনিসুর রহমান, পংকজ রায়, কাজী লাবনী জামান, সুমনা ইয়াসমিনসহ একাধিক ব্যক্তি শহীদ বুদ্ধিজীবি মুনীরুজ্জামান এর স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। তার নামে মাগুরা-শ্রীপুর সড়কটির নামকরণের দাবী জানিয়েছেন তারা।

রূপক/তাসিন/মাগুরা/ ১৪ ডিসেম্বর ১৭