বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মুঘল আমলের প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন রাজবাড়িকে ঘিরে একটি প্রত্ন জাদুঘর গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারের প্রত্মতত্ত বিভাগের মহা পরিচালক আলতাফ হোসেন। তিনি আরো জানান  পর্যটনের জন্য বাংলাদেশ একটি অন্যমত স্থান। এ দেশের অপার সৌন্দর্য  এবং বিপুল পর্যটন সম্ভবনাকে আরো বেশি সমৃদ্ধ হলে অর্থ-সমাজিক উন্নয়নে তা অনেক বড় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।  সচ্ছল বাংলাদেশ তৈরীতে পর্যটনকে অন্যমত প্রধান খাত বিবেচনা করে ২০১৬-১৮ সালকে  পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেছেন। এই বর্ষকে সফল করতে স্থানীয় পর্যটনের প্রচার এবং প্রসার ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে।  বৃহস্পতিবার দুপরে  মাগুরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘পর্যটন বান্ধব জেলা মাগুরা : সম্ভবনার নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক সেমিনারে  পর্যটন বিশেষজ্ঞরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
ট্রাভেল ম্যাগাজিন ভ্রমণের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ সেমিনারে জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য কামরুল লায়লা জলি এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক ড. ভুবণ চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কোর্স পরিচালক মল্লিক সাঈদ মাহবুবর,   মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খানম মিতা, ট্রাভেল ম্যাগাজিন ভ্রমণের সম্পাদক আবু সুফিয়ান।
বক্তব্য রাখেন ডাক্তার তাসুকুজ্জামান, মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান, সাংবাদিক রূপক আইচসহ অন্যরা।
সেমিনারে জানানো হয়, দেশের অন্যতম পর্যটনব বান্ধব জেলা মাগুরা। এ জেলায় রয়েছে সবুজ শ্যামল প্রকৃতির সমাহার। এছাড়া এ জেলায় প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন-ভাত ভিটার মন্দির, সীতারাম রাজার রাজবাড়ি, কবি কাদের নেওয়াজের বাড়িসহ বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকদের পদচিহ্ন রয়েছে। এর পাশপাশি জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা ও মুধমতি নদীসহ বিভিন্ন মনমুগ্ধকর নির্দেশন রয়েছে। যা মাগুরা জেলায় পর্যাটন সম্ভবনার নতুন দিগন্ত হিসেবে উন্মচিত হবে।

মাগুরা / ২৬ অক্টোবর ১৭