অলোক বোস, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
জটিল হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত দেড় বছর বয়সী শিশু ফাহিমা। বয়স অনুযায়ী শরীর বাড়েনি, অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে শুধু মাথা। বিশাল মাথার কারনে শিশুটি এখন মাথা সোজা করে বসতে পারে না। সব সময় শুয়ে থাকতে-থাকতে শিশুটির মাথার পেছনে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাভাবে মাথার জটিল অপারেশন করাতে না পারায় এখন তার হাত-পায়ে জল জমতে শুরু করেছে। ধীরে-ধীরে শিশুটি মৃত্যুর মুখে ধাবিত হচ্ছে। শিশুটিকে জটিল এ রোগ থেকে বাঁচাতে সরকার বা বিত্তবানদের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন তার হত দরিদ্র পরিবার ও প্রতিবেশিরা।

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা সদরের লাঙ্গলবাঁধ সড়কের বাসিন্দা ফারুক বিশ্বাস ও তাসলিমা খাতুন দম্পতির একমাত্র সন্তান ফাহিম। দেড় বছর আগে স্বাভাবিক সুস্থ্য সবল অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশুটির দুই মাস বয়স থেকে আস্তে-আস্তে মাথা বড় হতে থাকে। এসময় তাকে প্রথমে মাগুরা ও পরে ঢাকায় ডাক্তার দেখানো হয়। ডাক্তারা জানান, সে দুরারোগ্য হাইড্রোসেফালাস(Hydrocephalus) রোগে- এ আক্রান্ত। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে শিশুটিকে ঢাকায় অথবা ভারতে নিয়ে অপারেশ করা জরুরী। তবে এ অপারেশ অত্যন্ত ঝুকিপুর্ণ ও প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু সহায় সম্বলহীন দিন মজুর বাবা ও তার হতদরিদ্র স্বজনদের পক্ষে শিশুটিকে দীর্ঘদিন ঢাকায় রেখে লক্ষ- লক্ষ টাকা খরচ করে অপারেশ করানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে তার মাথার ওজন বেড়ে  ৬/৭ কেজিতে দাঁড়িছে। সাথে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে হাতে-পায়ে পানি জমা ও প্রচন্ড শ্বাস কষ্ঠ। ফলে অর্থভাবে বিনা চিকিৎসায় বাড়ি শুয়ে থেকে নিস্পাপ শিশুটি ধীর-ধীরে মুত্যুর মুখে এগিয়ে যাচ্ছে।

শিশুটির মা  তাসলিমা খাতুন জানান, মৃত্যু পথযাত্রী একমাত্র  সন্তানের সামনে বসে অসহায়ের মত শুধু চোঁখের  জল ফেলা ছাড়া তার আর কোন উপায় নাই। দিন মজুর স্বামী ধার দেনা করে ফহিমাকে  মাগুরা, ফরিদপুর ও  ঢাকায় নিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছেন। চিকিৎসকরা ঢাকা বা দেশের বাইরে নিয়ে  দ্রুত ফাহিমান মাথায় অপারেশ করার পরামর্শ  দিয়েছেন। তবে ঝুকিপুর্ণ এ অপারেশন করতে  প্রয়োজন কয়েক লক্ষ টাকা। যা তার স্বামী হতদরিদ্র স্বামী বা পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। যে কারনে তাসলিমা খাতুন তার একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে সরকার বা সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেছেন।

মাগুরা  ২৫০ শষ্য হাপতালের সদরহাসপাতালের মেডিসিন বিশেজ্ঞ  ডা: দেবাশিস বিশ্বাস বলেন,  হাইড্রোসেফালাস (Hydrocephalus)-এ আক্রান্ত শিশু ফাহিমার  অবস্থা দিন-দিন সংকটাপন্ন হচ্ছে।  শিশুটিকে বাঁচাতে হলে ঢাকা অথবা দেশের বাইরে নিয়ে নিউরো সার্জন দ্বারা দ্রুত অপারেশ করানো প্রয়োজন।

অলোক/রূপক/ ১৯ এপ্রিল ১৭