বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরা সদর উপজেলার আবালপুর গ্রামে ইয়ারুল ইসলাম নামে এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে গতরাতে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের নাইট গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আজ মঙ্গলবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ইয়ারুল ইসলাম ওই গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসি।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, নিহত ইয়ারুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে ওই গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান মুক্তিমঞ্চ ফাউন্ডেশনের নাইট গার্ডের দায়িত্ব পালন করে আসছিল। সেখানে দুটি বিল্ডিং এর নির্মাণকাজ চলছে। গতরাতে কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা সেখানে ঢুকে তাকে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড় দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করে ফেলে রেখে যায়। সকালে আশপাশের লোকজন মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। কি কারণে কারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।

ওই এলাকার বাসিন্দা আসিফ আল আসাদ মেলিন জানান- মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের অপরাধে  ইয়ারুল ইসলামের বাবা ও চাচাকে একইসঙ্গে হত্যা করে পাকিস্থানি হানাদারেরা। সে ওই শহীদ পরিবারের খুব শান্তশিষ্ট ও ভদ্র একজন মানুষ। একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের এ ধরণের হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চান তারা।

এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের মাতম চলছে। নিহতের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা কিছুক্ষন পরপরই অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। শিশুপুত্র রিয়াদ ও কন্যা তারিনকে নিয়ে এখন কিভাবে তার সংসার চলবে এ নিয়েই  তারা উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন।

রূপক আইচ/মাগুরা /২৮.০৩.১৭