বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মাগুরা সদর উপজেলার বেরলই পলিতা বাজার এলাকায় পাট কেনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত (২০ আগষ্ট) মঙ্গলবার বিকাল পাঁচাটার দিকে পলিতা বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনায় দোকান ঘর ভাংচুর ও পাট কেনার অর্থ লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় গুরুতর আহত বিল্লাল মোল্যা (৪৫), আছাদ রহমান (৪০), রবিউল ইসলাম (২০) কে মাগুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাগুরা সদর হাসপাতালে আহতদের অব্স্থা খারাপ হলে তাদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায় দক্ষিন মাগুরার ত্রাস ডাকাত মনির ও মছিয়ার গং দীর্ঘদিন ধরে (মাগুরা সদর থানার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের বেরইল খাড়া পাড়ার জামাত নেতা নুরুল মাস্টার এর ছেলে মনিরুল ইসলাম (ডাকাত মনির) এবং চর বাটাজোড় গ্রামের মৃত ওহেদ শেখ এর ছেলে মছিয়ার শেখ) ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। উল্লেখ্য মনির ১৯৯৮ সালে ডাকাতি করতে গিয়ে অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে ধরা পড়ে এবং ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়, জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০০৭ সাল থেকে মছিয়ার শেখ সহ আরো কিছু সন্ত্রাসীকে একত্র করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব করছে, বেরইল পলিতা এলকায় ডাকাতি, চাদাবাজি, জমি দখল, মাটি উত্তলন করে বিক্রি,অবৈধ সালিশের মাধ্যমে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায়, লুটপাট ও ভাংচুর করে মামলার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছে জানা যায় বর্তমানে মনিরের নামে মাগুরা সদর থানায় ১১টি মামলা সচল আছে। বেরইল পলিতায় নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে এলাকার কিছু লোক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন বিভিন্নভাবে ডাকাত মনির- মছিয়ার গং দের কারনে এলাকার শান্তি নস্ট হচ্ছে। তারই প্রেক্ষিতে বেরইল পলিতা বাজারে হাটেরদিন পাট ক্রয়কে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। সেই মারামারির জের ধরে মনির ডাকাত ও মছিয়ারের নেতৃত্বে বেরইল খাড়াপারা ও চরবাটাজোড় গ্রামে লুটপাট ও ভাংচুর চালায়। নগদ টাকা, অলংকার, গবাদি পশু, ধান, পাট সহ পরিবারে ব্যবহারের সকল উপকরন লুটপাট করে এবং বাড়ী ঘর ভাংচুর করে টিন পযর্ন্ত নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে চরবাটাজোড় গ্রামের আলতাফ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, তিনি ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন, এলাকায় কোন দল না করা সত্ত্বেও শুধু লুটপাটের জন্য তার ঘরবাড়ি মছিয়ার শেখ এর নেতৃত্বে হামলা চালায় ও লুটপাট করে। এঘটনায় ২টি মামলা হয়েছে কিন্তু কেউ গ্রেফতার হয় নি। মামলার পর মনির মছিয়ার এলাকায় ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। বেরইল পলিতা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

মাগুরা/আগষ্ট-২৮/২০১৯