বিশেষ প্রতিনিধি

‘বাজান গো, পড়ো (পঙ্গু) স্বামীডারে নিয়ে মানষির বাড়ির গোয়াল ঘরে ঘুমাতি হয়।ছেলে মেয়েরা যার যার মত চলে গেছে। আমাগের দেহে না। বুড়ো কালে স্বামী স্ত্রী মিলে খুব কষ্টে আছি। সরকারেরতে এই জমিডা দেছে ১০ বছর আগে। কিন্তু জমির কাছেও আমরা ভিড়তি পারতাম না। আজকে সরকারের লোক আসে আমাগের জমি আমাগের হাতে বুঝে দেছে। আমরা যে কত খুশি বলে বুঝাতি পারবো না। এখন একটু মাথা গোঁজার ঠাই করতি পারলিই আমার একটু শান্তি।’ -বলছিলেন মাগুরা সদর উপজেলার খালিমপুর গ্রামের পঙ্গু আজিবর রহমানের স্ত্রী শহর বানু । প্রায় দশ বছর আগে সরকারের কাছ থেকে কাগজে কলমে তারা খাস জমি বন্দোবস্ত পেলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রভাবে জমির দখল বুঝে পাচ্ছিলেন না মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর গ্রামের খালিমপুর গ্রামের ১১ টি ভুমিহীন পরিবার।

2
জমির দখল বুঝে পেয়ে এভাবেই কেঁদে ফেললেন পঙ্গু ভূমিহীন আজিবর রহমান

আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রভাবশালীদের দখল উচ্ছেদ করে এসব পরিবারের কাছে সরেজমিনে জমির দখল বুঝিয়ে দেয় মাগুরা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

মাগুরা সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সেলিনা বানুর উপস্থিতিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এ সকল ভূমিহীনদের মধ্যে ৮২শতর জমি বুঝিয়ে দেয়।  এ সময় অবৈধভাবে দখল করে রাখা ওই সকল জমিতে সীমানা নির্ধারণ করে জমির মালিকদের হাতে দলিল বুঝিয়ে দেয়া হয়।

জমি বুঝে পাওয়া ভূমিহীনরা হচ্ছেন ওই গ্রামের রেজাউল ইসলাম, মহম্মদ আলী, আজিবর রহমান, দোলেনা খাতুন, হালিম মোল্যা, আনোয়ার হোসেন, সোনাভান বিবি, ওমর ফকির, আহম্মদ ফকির, আরিফুল ইসলাম ও রীনা খাতুন।

ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা বানু আরো জানান- মাগুরার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে দখল করে রাখা সরকারি জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণের কাজ চলছে। এসব ভূমিহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের পক্ষ থেকে ঘরে তৈরী করে দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

https://www.youtube.com/watch?v=PPxQpijhlRI&feature=youtu.be